প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, মনে করেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া সঠিক ছিল বলে মনে করেন দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন-পিয়েরে বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন এ তথ্য।
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত সেই ব্রিফিংয়ে ক্যারিন বলেন, “আমাদের প্রেসিডেন্ট তার মেয়াদে যা যা করতে পেরেছেন, সেজন্য তিনি সন্তুষ্ট। সেই সঙ্গে নির্বাচনী দৌড়ের মশাল হস্তান্তরের যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন, সেজন্যও তিনি গর্বিত।”
বিজ্ঞাপন
“আমাদের প্রেসিডেন্ট আরও মনে করেন যে নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন, তা সঠিক ছিল; কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে কমলা হ্যারিস (ট্রাম্পের সঙ্গে) নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রস্তুত।”
বস্তুত, যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জো বাইডেন। তবে তিনি জয় পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল খোদ তার দল ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যেই। বয়সজনিত কারণে তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে, কিন্তু তিনি তাতে একেবারেই সম্মত ছিলেন না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের উদ্যোগে ২৭ জুন ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম নির্বাচনী বিতর্ক হয় বাইডেনের। সেই বিতর্কে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন তিনি। তার এ পরাজয়ের জেরে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি ভোটারদের সমর্থনও কমে যায়।
সেই সঙ্গে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাইডেনের ওপর চাপও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। একপর্যায়ে সেই চাপের কাছে নতিস্বীকার করে জুলাই মাসের মাঝামাঝি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন বাইডেন, নতুন প্রার্থী হন কমালা হ্যারিস।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন কমালা। ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকেই বলছেন, বাইডেন যদি আরও আগে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতেন, তাহলে নির্বাচনের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।
হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা ক্যারিনকে প্রশ্ন করেন যে দেরিতে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য বাইডেন অনুতপ্ত কি না।
এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে ক্যারিন বলেন, “আমাদের স্মরণে রাখা উচিত যে এই প্রশাসন যখন দায়িত্ব নেয়, তখন বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় সংকট ছিল করোনা মহামারি। এই প্রশাসনের মেয়াদের অর্ধেকেরও বেশি সময় কেটেছে সংকট মোকাবিলা করতে করতে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনীতিতেও তার প্রভাব পড়েছে। আর করোনা মহামারি এমন একটি বিপর্যয় ছিল যে বিশ্বের অনেক দেশের রাজনীতিবিদরা এই সংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।”
সূত্র : এএফপি
এসএমডব্লিউ