যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতেই কথা হতে পারে তাদের মধ্যে।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয়, আমরা কথা বলব এবং নিকট ভবিষ্যতেই এটা ঘটবে।”

মঙ্গলবার ভোটগ্রহণের পর বুধবারই নিশ্চিত হয়ে যায় যে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা শুভেচ্ছা জানানো শুরু করেন ট্রাম্পকে। এ পর্যন্ত ৭০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ট্রাম্পকে টেলিফোনে বা লিখিতভাবে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।

কিন্তু সেই দলে পুতিন ছিলেন না। অবশ্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর সোচি’র একটি রিসোর্টে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তার সাহসিকতারও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তিনি।

পুতিন এবং ট্রাম্পের পরস্পরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সর্বজনবিদিত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা পাঠানোর কট্টর বিরোধী ট্রাম্প। ২০২২ সালে এ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার পর ট্রাম্প বেশ কয়েক বার বলেছেন যে তিনি ক্ষমতায় গেলে ইউক্রেনকে অর্থ সহায়তা পাঠানো বন্ধ করে দেবেন।

তিনি আরও বলেছেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থামিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা তার রয়েছে। অবশ্য কীভাবে এ যুদ্ধ থামাবেন— সে সম্পর্কিত কোনো ইঙ্গিত দেননি ট্রাম্প।

এদিকে গত মাসে মার্কিন সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এক প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ত্যাগের পর থেকে এ পর্যন্ত গোপনে অন্তত ৭ বার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারে তাকে এ বিষয়েও প্রশ্ন করেছিল এনবিসি।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না, তবে আমি আপনাকে বলব যে যদি আমি (ফোন) করেও থাকি, তাহলে তা নিশ্চিতভাবেই একটি স্মার্ট কাজ। আমি যদি মানুষের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হই, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারি— সেটি অবশ্যই ভালো দিক; এতে খারাপ কিছু নেই…তার (পুতিন) কাছে অন্তত ২ হাজার পরমাণু অস্ত্র রয়েছে, আমাদের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যাও প্রায় তেমনই।”

সূত্র : আরটি

এসএমডব্লিউ