জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে পদচ্যুত করার পর কার্যত পতন ঘটেছে চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের নেতৃত্বাধীন সরকারের। পতনের মুখে থাকা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের তারিখও ঘোষণা করেছেন শোলৎজ।

এদিকে এই জটিলতার মধ্যেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্ক-ওয়ালটার স্টেইনমেয়ার জানিয়েছেন, আগাম নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য তিনি প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে, “এখন কৌশল-চাতুরির সময় নয়, বরং যুক্তি এবং দায়িত্বপালনের সময়।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরদিন বুধবার জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে পদচ্যুত করেন জার্মানির চ্যান্সেলর এবং দেশটিতে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধান ওলাফ শোলৎজ। তার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিকভাবে পতন ঘটে জোট সরকারের।

২০২১ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন জার্মানির রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস পার্টির শীর্ষ নেতা শোলৎজ। নির্বাচনে জয়ে পর ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গ্রিন পার্টি অব জার্মানি—দুই দলকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিদলীয় জোট সরকার গঠন করেন তিনি। পদচ্যুত অর্থমন্ত্রী লিন্ডনার ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ছিলেন।

মূলত বাজেট নীতি ও জার্মানির অর্থনীতির গতিমুখ নিয়ে জোট সরকারের তিন শরিকের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে যে বিবাদ চলছে, তার জেরেই বুধবার লিন্ডনারকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেন শোলৎজ।

বুধবার শোলৎজ জানিয়েছেন, বাজেট নিয়ে বিতর্কের মধ্যে লিন্ডনারের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী মনোভাবের জন্য তাকে পদচ্যুত করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, এই মন্ত্রী দেশের চেয়েও দলকে প্রাধান্য দেন এবং মিথ্যা অজুহাতে আইন আটকে রাখেন।

সাংবাদিকদের শলজ বলেন, “আমাদের এমন একটি সরকার দরকার যারা কাজ করতে পারবে, আমাদের দেশের জন্য যারা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।”

সরকার টিকিয়ে রাখতে আগামী ১৫ জানুয়ারি পার্লামেন্টে আস্থা ভোট হবে বলে ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

এর মধ্যেই এ ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বক্তব্য দিলেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ