যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক অঙ্গরাজ্যের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল যত প্রকাশ হচ্ছে, ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এবং দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের জয়ের আশা। এ অবস্থায় আজ রাতে ভোটারদের উদ্দেশে কোনো বক্তব্য না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

তবে আগামীকাল তিনি কথা বলবেন। আজ বুধবার কমালা হ্যারিসের প্রচারণা টিমের কো-চেয়ারম্যান ক্যাড্রিক রিচমন্ড সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

রিচমন্ড বলেন, “আমরা এখন ভোটের দিকে নজর রাখছি। এখনও এমন অনেক রাজ্য রয়ে গেছে, যেগুলো ফলাফল প্রকাশ করেনি।”

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ নামের একটি বিশেষ নির্বাচক মন্ডলীর ভোটের মাধ্যমে। আবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট নির্ভর করে সাধারণ ভোটারদের ভোটের ফলাফলের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের সংখ্যা মোট ৫৩৮টি। কোনো প্রার্থী যদি বিজয়ী হতে চান, তাহলে তাকে অন্তত ২৭০টি আসনে জয়ী হতে হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২৪৮টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প, আর কমালা পেয়েছেন ২১৩টি ইলেক্টোরাল ভোট।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের অধিকাংশই ডেমোক্রেটিক কিংবা রিপাবলিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষ হওয়ার আগেই বলে দেওয়া যায় যে কোন রাজ্যে কোন দলের প্রার্থী জিতবে।

ব্যতিক্রম শুধু পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন ও নেভাডা— এই সাতটি অঙ্গরাজ্য। এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলই নির্ধারণ করে দেয় যে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

এসব অঙ্গরাজ্যে কোন দলের প্রার্থী জিতবে— তা আগে থেকে অনুমান করা যায় না বলে এগুলোকে বলা হয় সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য।

তবে ইতোমধ্যে জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। দুই অঙ্গরাজ্যেই জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প।

এদিকে আজ ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ভক্ত-সমর্থক-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল কমালা হ্যারিসের। সে উপলক্ষে ক্যাম্পাসে জড়ো হচ্ছিলেন তার সমর্থকরা। ক্যাড্রিক রিচমন্ডের বক্তব্য প্রচার হওয়ার পর তারা ধীরে ধীরে ফিরে যেতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

রিচমন্ড বলেন, “আমাদের কাছে প্রতিটি ভোট, প্রতিটি কণ্ঠস্বর মূল্যবান। যারা আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা অভিযানে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে যারা আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন, তাদের সবার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”

সূত্র : সিএনএন

এসএমডব্লিউ