যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক এবং তার মালিকানাধীন প্ল্যাটফরম এক্স ভুয়া তথ্যের ‘এপিসেন্টার’ বা আড্ডাখানা হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক রাজনীতি বিশ্লেষক। সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইট নামের একটি মার্কিন অলাভজনক সংস্থা গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

২০২২ সালে অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিকানা গ্রহণের পর থেকে কন্টেন্ট মডারেশন সীমিত করে এনেছেন মাস্ক। পাশাপাশি ছাঁটাই করেছেন হাজারেরও বেশি কর্মীকে। ফলে এই যোগাযোগমাধ্যমটিতে বর্তমানে অনেক ভিডিও কন্টেন্ট ও তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে পুরোপুরি যাচাই-বাছাই ছাড়াই।

তাছাড়া ইতোমধ্যেম মাস্ক রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে সম্প্রতি এক্সে যতগুলো পোস্ট করেছেন মাস্ক, সেগুলোর মধ্যে ৮৭টিকে মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য নির্ভর বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থাগুলো।

এবং মাস্কের এসব পোস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রভাব রাখতে সক্ষম। কারণ এক্সে তার অনুসারীর সংখ্যা ২০ কোটি ৩০ লাখ এবং নির্বাচন সংক্রান্ত তার এসব পোস্টের গড় ভিউ ছিল ২০০ কোটি।

যুক্তরাজ্যের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের অধিকাংশই ডেমোক্রেটিক কিংবা রিপাবলিক পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষ হওয়ার আগেই বলে দেওয়া যায় যে কোন রাজ্যে কোন দলের প্রার্থী জিতবে।

ব্যতিক্রম শুধু পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন ও নেভাডা— এই সাতটি অঙ্গরাজ্য। এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটের ফলাফলই নির্ধারণ করে দেয় যে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

এসব অঙ্গরাজ্যে কোন দলের প্রার্থী জিতবে— তা আগে থেকে অনুমান করা যায় না বলে এগুলোকে বলা হয় সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য।

মার্কিন রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মাস্কের এসব পোস্টের প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়বে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে।

এক্সের এক মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন যে নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি যেসব কন্টেন্ট প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে, সেগুলো যাচাই করছেন তারা। যাচাই শেষে ভুয়া তথ্য নির্ভর কন্টেন্টগুলো মুছে ফেলা হবে।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ