ইরানে হামলার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।

ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দখলদার ইসরায়েলকে ‘দাঁত ভাঙা’ জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। গাজায় বর্বরতা, লেবাননে ইসরায়েলি কমান্ডোদের অভিযানসহ নানান ঘটনার পর এমন হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করেছেন খামেনি।

তিনি বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল উভয় শত্রুর জানা উচিত তারা অবশ্যই দাঁত ভাঙা জবাব পাবে।”

গত ২৬ অক্টোবর ইরানে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এরপর থেকেই পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে তারা তারাও পাল্টা জবাব দেবে। আর এবারের হামলার পরিধি হবে তীব্র।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বার্তা দিয়েছে, তারা যদি ইসরায়েলে ফের হামলা চালায় তাহলে এবার ইসরায়েলকে তারা আটকাতে পারবে না। অর্থাৎ ইরানকে যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়েছে, ইসরায়েলের নতুন পাল্টা জবাব হবে অনেক বড়। এতে তারা তাদের পারমাণবিক স্থাপনাতেও হামলা চালাতে পারে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র কিছু করতে পারবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তা এক্সিওসকে বলেছেন, “আমরা ইরানিদের বলেছি : আমরা ইসরায়েলিদের আটকাতে পারব না। এমনকি নিশ্চয়তা দিতে পারব না এবারের হামলা হবে নির্ধারিত লক্ষবস্তুতে।”

মার্কিন এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন ইরানের কাছে সরাসরি এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েলি একটি সূত্র জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের মাধ্যমে ইরানকে সতর্ক করা হয়েছে।

এক্সিওসের এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র কারও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইরানি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধান ধর্মীয় নেতা খামেনি একাধিকবার ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। খামেনির এই কথার অর্থ হলো ইসরায়েলে ইরান নিশ্চিতভাবে হামলা চালাবে। তবে এটির প্রতিক্রিয়ায় দখলদার ইসরায়েল কী করবে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।

ইরানে ২৬ অক্টোবর ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে এতে সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছিল। ওই হামলায় চার ইরানি সেনা নিহত ও বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

এরআগে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। এর জবাবে ২৬ অক্টোবর পাল্টা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।

সূত্র: এক্সিওস, টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই