লেবাননের সিডনের কাছে হারেত সাইদা এলাকায় হামলার পরের দৃশ্য। বুধবারের ছবি

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকার কিছু অংশ থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার জন্য নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করা হয়।

হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক হামলার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, বালবেক, আইন বুরডে ও দৌরিসের লোকজনকে তাদের বাড়িঘর খালি করে চলে যেতে হবে।

ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহকে পিছু হঠাতে সেখানে বিমান হামলা চালাচ্ছে তারা।

গাজা ভূখণ্ডে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের কর্মকর্তা এবং মানবিক সংস্থাগুলো তাদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশের সমালোচনা করে বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এটা খুবই অপর্যাপ্ত সময়। এছাড়া এই যুদ্ধের মধ্যে অন্য কোথাও যাওয়াও নিরাপদ নয়।

চলমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চিঠি লিখেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এতে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের প্রধান সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ইসরায়েলের নতুন আইন নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “জাতিসংঘের মহাসচিব অল্প সময় আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নিয়ে তার উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছেন।”

এছাড়া গুতেরেস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিকেও চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডুজারিক। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ পরিষদে ইউএনআরডব্লিউএ গঠন করা হয়েছিল।

এর আগে গুতেরেস ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর হওয়া দুটি আইনের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য এটি “ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে”।

টিএম