মিয়ানমারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এ দুই রাষ্ট্র এবং জোটের কোনো কোম্পানি বা বিক্রেতার (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) কাছ থেকে আর বিমানে ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি কিনতে পারবে না জান্তা।
যুক্তরাজ্যের এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তার সামরিক সক্ষমতা, উপকরণ এবং তহবিল বাধাগ্রস্ত করতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আমরা চাই না যে আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে কেনা জ্বালানি মিয়ানমারের সাধারণ জনগণকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিমান হামলায় ব্যবহার করা হোক।”
বিজ্ঞাপন
“গত আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সাধারণ জনগণকে দমন করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা। এসব অভিযানের জেরে শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।”
কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। এর আগে ২০২২ এবং ’২৩ সালে মিয়ানমারের বিমান বাহিনীর জ্বালানি ও সমরাস্ত্রের সরবরাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমা বিশ্ব।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র মন্ত্রী ক্যাথেরিন ওয়েস্ট এএফপিকে বলেন, “ক্ষমতাসীন জান্তা যেভাবে মিয়ানমারজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, একের পর এক বিমান হামলা করে বেসামরিক লোকজনদের হত্যা করছে তা শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, বরং সহ্যের অতীত।”
“এ কারণেই আজ কানাডা এবং ইইউয়ের সঙ্গে যৌথভাবে আমরাও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কেনা জ্বালানি মিয়ানমারে সাধারণ জনগণকে হত্যার জন্য ব্যবহার করা হবে— এটি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।”
মিয়ানমারের জনগণের স্বাধীকারের সংগ্রাম এবং মিয়ানমারকে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের লড়াইয়ের প্রতি ব্রিটেনের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও এএফপিকে জানিয়েছেন ক্যাথেরিন ওয়েস্ট।
সূত্র : এএফপি
এসএমডব্লিউ