যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। দুই প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচারণায় ব্যস্ত। উভয় প্রার্থীই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

দেশটির ভোটাররা আগামী ৫ নভেম্বর তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ভোট দেবেন। তবে আগাম ভোটদান আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে এবং এখন পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের আগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ মিলিয়ন বা সাড়ে চার কোটি আমেরিকান আগাম ভোট দিয়েছেন বলে একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার তথ্যে দেখা গেছে। সোমবার এই তথ্য প্রকাশিত হয়।

ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার ইলেকশন ল্যাব প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ব্যালট গণনা করেছে। ডাকের মাধ্যমে বা ব্যক্তিগতভাবে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভোটাররা এসব আগাম ভোট দিয়েছেন। যারা আগেভাগে ভোট কেন্দ্রে গেছেন এবং যারা তাদের ব্যালটে মেইল ​​করেছেন তাদের সংখ্যা প্রায় সমান।

আগামী ৫ নভেম্বর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন মার্কিন ভোটাররা। দিনটি মঙ্গলবার অর্থাৎ সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে কর্মদিবস হওয়ায় অনেক ভোটার কেন্দ্রে যেতে পারবেন না, আর এই কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

২০২০ সালে সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। তিনি এবারও নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু গত জুলাইয়ে প্রচারণার শেষে এসে তিনি সরে দাঁড়ান ও কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেন।

এখন বড় প্রশ্ন হলো, এবার কি যুক্তরাষ্ট্র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট পাবে নাকি দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পেয়ে ক্ষমতায় বসবে ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেহেতু নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। ভোটারদেরও এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে কে এগিয়ে সে সব বিষয়ে নজর রয়েছে সবার।

মূলত শুরু থেকে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু গত জুলাইয়ের শেষ দিকে প্রার্থী ঘোষণার পর নির্বাচনের মাঠে নামেন কমালা হ্যারিস। এসেই হ্যারিস ছোট একটা লিড নিয়েছেন ট্রাম্পের চেয়ে।

সম্প্রতি এবিসি নিউজের এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৮ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন কমালা হ্যারিস, বিপরীতে মাত্র এক শতাংশ কম সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

অবশ্য নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিকে কিছুটা হোঁচট খেয়েছিলেন হ্যারিস। পরে আগস্টের শেষে এসে তিনি চার পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে যান। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর এই দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মধ্যে যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় তা প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ দেখেছিল।

ওই বিতর্কের পর দুই জনেরই জনপ্রিয়তা তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল। তবে গত কয়েকদিনে ট্রাম্প ও হ্যারিসের মধ্যে এই ব্যবধান আরও কমে আসছে। বিভিন্ন জরিপে সে সব চিত্র অনেকটাই স্পষ্ট হচ্ছে।

টিএম