ক্ষমতায় গেলে বিদেশে যুদ্ধ করবেন না, প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি রিপাবলিকানরা জয়ী হয় তাহলে বিদেশে কোনো যুদ্ধ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। কোনো মার্কিন সেনাকেও আর যুদ্ধের জন্য বিদেশে পাঠানো হবে না। এমন মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে যতগুলো আন্তর্জাতিক সংকটে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সেসবের প্রত্যেকটির সমাধান করবেন তিনি এবং এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবেন ইউক্রেন ও গাজা সংঘাতকে।
বিজ্ঞাপন
রোববার পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এই প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “যদি কমালা হ্যারিস নির্বাচনে জয়ী হয়ে আগামী চার বছরের জন্য ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য অন্তত আগামী চার দশক পর্যন্ত জ্বলবে এবং আমাদের যেসব সন্তানদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে, তারা বেঘোরে মারা পড়বে।”
আরও পড়ুন
“তাই কমালাকে ক্ষমতায় পাঠানোর অর্থ হলো লাখ লাখ মার্কিন তরুণ-তরুণীর জীবন কে ঝুঁকিতে ফেলা। আমাদের ছেলে-মেয়েরা এমন সব দেশে যুদ্ধ করতে গেয়ে মারা যাচ্ছে, যেসব দেশের নামই হয়তো অনেকে মার্কিন নাগরিক শোনেননি।”
“কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনারা যদি আমাকে জয়ী করেন, আমি কখনও কোনো নির্বোধ এবং শেষ না হতে চাওয়া যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের পাঠাব না। আপনাদের সন্তানরা আপনাদের সংস্পর্শে থাকবে। বাড়ি থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে অন্য কোনো দেশে বেঘোরে তাদের প্রাণ হারাতে হবে না।”
নির্বাচনী প্রচারণা সভায় তিনি আরও বলেন, “আমি আরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বাইডেন শাসনামলের চার বছরে যতগুলো আন্তর্জাতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়েছে, প্রতিটি থেকে আমি এই দেশকে বের করে আনব। সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া হবে ইউক্রেন এবং গাজা সংঘাতের ওপর।”
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটির পার্টির প্রার্থী দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস।
সূত্র : আরটি
এসএমডব্লিউ