আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ থেকে এখনও কিছু মানুষ অবৈধভাবে ভারতে আসছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে আসাম এবং ত্রিপুরা একসঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে এ বিষয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কাছেও একই ধরনের আবেদন জানিয়েছেন।

রোববার (২৭ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাম এবং ত্রিপুরায় গত দুই মাসে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা ১৩৮ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং এই ধরনের অনুপ্রবেশ এড়াতে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে বলে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “গত দুই মাস ধরে প্রতিদিনই আমরা আমাদের রাজ্যে একজন বা একদল বিদেশিকে আটক করে আসছি। মূলত আমার কথা হচ্ছে- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ সীমানার কারণে বিএসএফের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু লোক আছে যারা এখনও আমাদের দেশে আসছেন।”

আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমাদের দেশে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে রাজ্যগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আসাম এবং ত্রিপুরা এই বিষয়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও এ বিষয়ে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে সহযোগিতা করার এবং অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করা শুরু করার আহ্বান জানান।

মুখ্যমন্ত্রী শর্মা আরও বলেন, “ত্রিপুরা কয়েকজন বিদেশিকে শনাক্ত করছে, আর আসামও শনাক্ত করছে...আমরা বিএসএফ-এর সাথে এই বিষয়ে সমন্বয় করছি। কখনোও কখনোও যৌথ অভিযানের মাধ্যমে, কখনোও বিএসএফ, আবার কখনও রাজ্য পুলিশের মাধ্যমে এসব মানুষ শনাক্ত করা হয়। এটি একটি সমন্বিত কাজ।”

তিনি বলেন, “প্রতিটি রাজ্য সরকারকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে এবং তাদের অবশ্যই বিএসএফের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। তাই, আসাম এবং ত্রিপুরা, আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমরা লোকদের শনাক্ত করছি। যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও লোকদের শনাক্ত করতে শুরু করে, আমি মনে করি এটি সুসংগঠিত এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টা হবে।”

শর্মা আরও বলেন, “অস্থিতিশীলতার” কারণে বাংলাদেশের হিন্দুরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করবে এমন প্রত্যাশা করা হলেও বিপরীতে যাদের অনুপ্রবেশারী হিসেবে যাদের শনাক্ত করা হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা মুসলমান। 

তিনি বলেন, “সুতরাং আমি মনে করি, প্রথমত, হিন্দু-বাঙালিদের সম্পর্কে ধারণাটি ভুল, তথ্য এটাই বলে। দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গা মুসলমানরা এখনও আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আসার চেষ্টা করছে।”

টিএম