ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি (ফাইল ছবি)

ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে গত শনিবার ভোরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই হামলা চালায়।

ইসরায়েলের এই হামলায় ইরানে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে ইরান বলছে, ইসরায়েলি হামলার আগে তারা ‘ইঙ্গিত পেয়েছিল’। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত শনিবার ভোরে ইরানের তিনটি প্রদেশে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলার কথা উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, সরকার “সেই রাতে হামলার সম্ভাবনা সম্পর্কে সন্ধ্যা থেকেই ইঙ্গিত পেয়েছিল”।

যদিও তিনি হামলার ইঙ্গিতগুলোর প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ইসরায়েলি আক্রমণের সময় “প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা” নেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, তিনি সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং “বিভিন্ন পক্ষের সাথে বার্তাও আদান প্রদান করা হয়েছিল”।

এদিকে ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় তাদের চার সেনা নিহত হয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল গত শনিবার এই হামলা চালায়।

অন্যদিকে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ বলেছে, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং তেহরান ও পশ্চিম ইরানের কিছু স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে এবং একইসাথে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতিও দায়িত্বের বিষয়টি তারা স্বীকার করে।

গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ইরান প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। আর তারই জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাবে- গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এমন ধারণাই করা হচ্ছিল। মূলত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে শনিবার ভোরে ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।

ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে এবার হামলা করেছে ইসরায়েল। এসব হামলা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলার দাবি করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। একই সাথে কিছু জায়গায় ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

ইসরায়েলের হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়ায় বিভিন্ন শহরে স্বাভাবিক চিত্র আছে এমন দৃশ্য প্রদর্শন করে। স্কুল ও খেলাধুলাও স্বাভাবিক চলছে বলে এসব খবরে দেখানো হয়।

টিএম