ইরানকে লক্ষ্য করে আজ শনিবার মধ্যরাতে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এরআগে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছিল ইরান।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সামরিক শক্তিশালী দেশ ইরান ইসরায়েলকে শত্রু মনে করে। আবার ইসরায়েলও ইরানকে শত্রু মনে করে। এর কারণ কী?

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব হয়। এর আগে দখলদার ইসরায়েল ইরানের মিত্র ছিল। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের ছিল সৌহার্য্যপূর্ণ সম্পর্ক।

তবে ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরানে আসে ইসলামিক চিন্তাধারার শিয়া সরকার। এই সরকারের অন্যতম মূল নীতি হলো তারা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না এবং তাদের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না। এমনকি ইসরায়েলের নামও উচ্চারণ করে না তারা। এরবদলে ইসরায়েলকে ‘ইহুদিবাদী সরকার’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে। ইরান মূলত ইহদিবাদ সম্প্রসারণ আটকাতে চায় এবং ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন’ চায়। এছাড়া ইরান মনে করে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমাদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করছে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি একবার বলেছিলেন, ইসরায়েল হলো একটি ‘ক্যান্সারাক্রন্ত টিউমার’। যেটি নিশ্চিতভাবে উপড়ে ফেলা এবং ধ্বংস করা হবে।

অপরদিকে ইসরায়েল ইরানকে তাদের অস্তিত্বের হুমকি মনে করে। যার প্রমাণও আছে। ইরান লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সহায়তা ও অর্থায়ন করে থাকে। যারা সবসময় ইসরায়েলকে ধ্বংস চায়।

এছাড়া ইসরায়েল অভিযোগ করে থাকে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু ইরান এই দাবি অস্বীকার করে।

গত বছর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল-ইরানের শত্রুতা নতুন পর্যায়ে পৌঁছায়। এই সময়ের মধ্যে ইরান প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সরাসরি হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েলও ইরানে হামলা চালায়।

এই যুদ্ধের আগে ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই উভয়ের স্বার্থ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু সেগুলো তারা স্বীকার করত না। কিন্তু এখন প্রকাশে হামলা পাল্টা হামলা চলছে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই

প্রতিবেদনে কিছু তথ্য যুক্ত করা হয়েছে