ইসরায়েলের জন্য ১ হাজারেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিল ইরান
ইসরায়েলে সম্ভাব্য হামলার জন্য এক হাজারেরও বেশি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিল ইরান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে, শনিবার ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরান এবং রাজধানী সংলগ্ন দুই প্রদেশ খুজেস্তান ও ইলামে ইরানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ‘সংক্ষিপ্ত ও সুনির্দিষ্ট’ অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই হামলায় সীমিতমাত্রায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে স্বীকার করেছে ইরানের বিমান বাহিনী।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত নিয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস, সেখানে বলা হয়েছে— দেশটি সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে এই ১ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মাত্রা বাড়তে থাকায় সম্ভাব্য যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইরানের সেনাবাহিনীকে এই নির্দেশ দিয়েছেন খামেনি।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে অকার্যকর করতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি সেনারা। গত সেপ্টেম্বর থেকে হামাসের মিত্র ও লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ।
লেবানের অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিতে গত ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
তবে অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমের মাধ্যমে ইরানের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে ফেলতে পেরেছিল আইডিএফ। তাই ১ অক্টোবরের হামলায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ইসরায়েলের।
হামলার পরের দিন ২ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরানকে এ হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল। অন্যদিকে ৩ অক্টোবর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কাতারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি গাজা এবং লেবাননে সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ফের এ ধরনের হামলা হবে।
উভয়পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এই আশঙ্কার মধ্যেই আজকের হামলা চালাল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এর আগে গত ০১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রাতভর প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
সূত্র : দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, তেহরান টাইমস
এসএমডব্লিউ