দানা আতঙ্কে কলকাতা বিমানবন্দরে সতর্কতা, ১৫ ঘণ্টা বন্ধ বিমান চলাচল
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আর এই দুর্যোগের আশঙ্কায় এবার আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত টানা ১৫ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। ওই সময়ে বিমানবন্দরে কোনও ফ্লাইট ওঠানামা করবে না। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বৃহস্পতিবার ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলের পাশাপাশি কলকাতাতেও ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের এই রাজধানী শহরে ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গে আগেই বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে প্রচুর লোকাল ট্রেনও। শিয়ালদহ থেকে দক্ষিণ শাখা ও হাসনাবাদ শাখার মোট ১৯০টি ট্রেন বাতিল রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা শিয়ালদহ দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। হাওড়া স্টেশন থেকেও শুক্রবার কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
জলভাগের ওপর দিয়ে আসার কারণে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে শক্তি বৃদ্ধি করছে ঘূর্ণিঝড়। এদিকে ‘দানা’ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।
টিএম