মার্কিন-ইরাক যৌথ বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের ইরাক শাখার প্রধান আবু আবদুল কাদেরসহ গোষ্ঠীটির ৮ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার। মঙ্গলবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ শিয়া আল সুদানি এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ইরাকের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের ইরাক শাখার তথাকথিত প্রধান আবু আবদুল কাদের এবং গোষ্ঠীটির ৮ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহতের ঘটনাকে স্বাগত জানাই। যারা এই অভিযানে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র-ইরাক যৌথ বাহিনীর (জয়েন্ট অপারেশেন কমান্ড-জিওসি) নেতৃত্বে ইরাকের উত্তরপূর্বে হারমিন পার্বত্য অঞ্চল অভিযান শুরু করে ইরাক পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের এই অভিযানের জেরে রোববার নিহত হয়েছেন আবু আবদুল কাদের এবং আইএস ইরাক শাখার ৮ জ্যেষ্ঠ কমান্ডার।

মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি বলেন, “ইরাকে সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। যতদিন পর্যন্ত ইরাকের ভূমি এসব সন্ত্রাসী এবং তাদের ঘৃণ্য কাজকর্ম থেকে মুক্ত না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।”

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করতে ২০০৩ সালে যে অভিযান পরিচালনা করেছিল মার্কিন বাহিনী, তার পর দেশটিতে সৃষ্ট ব্যাপক বিশৃঙ্খলার মধ্যে ২০১৩ সালে গঠিত হয় ইসলামিক স্টেট। সৌদিভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আলকায়দা থেকে সরে আসা একদল কমান্ডার ও যোদ্ধা গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ২০১৫ সালের মধ্যে ইরাক এবং সিরিয়ার বেশ কিছু এলাকা দখল করে পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করে আইএস।

বিশ্বজুড়ে আইএস পরিচিতি পেয়েছে নিষ্ঠুরতার জন্য। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর তুলনায় আইএস অনেক বেশি কঠোর ও নিষ্ঠুর।

আইএসের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান নেতা ছিলেন আবু বকর আল বোগদাদি। ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনীর হামলায় তিনি নিহত হন।

সূত্র : আরটি

এসএমডব্লিউ