ভারতে চালের উৎপাদন হয় মূলত দেশটির পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে (প্রতীকী ছবি)

সিদ্ধ চালের ওপর থেকে রপ্তানি শুল্ক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক অফিসিয়াল আদেশে এই ঘোষণা দেয় বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক এই দেশটি।

রপ্তানি বাড়াতে গত মাসে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার পর এবার কর অপসারণের সিদ্ধান্ত নিল ভারত। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে ভারত বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চালের রপ্তানি আবার শুরু করার অনুমতি দিয়েছিল। এর অর্থ রপ্তানিকারক বাসমতি ব্যতীত অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবেন।

দেশটি নন-বাসমতি সাদা চাল রপ্তানির জন্য সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতি মেট্রিক টনে ৪৯০ মার্কিন ডলার।

ভারতীয় চাল রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি দেব গর্গ বলেছেন, সিদ্ধ চালের ওপর থেকে রপ্তানি কর অপসারণের সিদ্ধান্ত নতুন মৌসুমের ফসল সম্পর্কে সরকারের আস্থার ইঙ্গিত দেয়।

অন্যদিকে চাল রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বি.ভি. কৃষ্ণা রাও বলেছেন, চালের শুল্কমুক্ত রপ্তানি মূল্য-সংবেদনশীল আফ্রিকান ক্রেতাদের ভারত থেকে কেনাকাটা বাড়াতে উৎসাহিত করবে।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, ভারত তুষের বাদামী চাল এবং চাল ধানের ওপর ১০ শতাংশ রপ্তানি শুল্কও বাতিল করেছে।

প্রসঙ্গত, ভারতে চালের উৎপাদন হয় মূলত দেশটির পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। গত বছর এসব রাজ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

সেই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানিতে নিষেধজ্ঞা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর ১৪ মাস পর গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চাল উৎপাদনে এই মুহূর্তে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে ৬টি দেশ— বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। তবে চাল রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত।

প্রতিদিন বিশ্ববাজারে যে পরিমাণ চাল কেনা-বেচা হয়, তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।

টিএম