পুরোনো ছবি

ঘূর্ণিঝড় ডানার আঘাত থেকে বাঁচতে ভারতের ওড়িশার তীর্থ শহর পুড়ি থেকে সরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। বঙ্গোপসাগরে কাল বুধবার সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালের মধ্যে ওড়িশার পুড়ি এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি অঞ্চল দিয়ে এটি অতিক্রম করবে। এমন অবস্থায় তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের পুড়ি থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানায় ওড়িশা সরকার।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওমকম নিউজ জানিয়েছে, পর্যটকবাহী শত শত বাস পুড়ি ছাড়তে দেখা গেছে। এছাড়া পুড়ি রেলস্টেশনেও অনেক মানুষের জটলা দেখে গেছে। কিছু পর্যটক অভিযোগ করেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাস কোম্পানিগুলো তাদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

ওড়িশা সরকার গতকাল সোমবার প্রথমবার পর্যটকদের পুড়ি ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানায়। কর ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি বলেন, পর্যটকদের দ্রুত পুড়ি ছাড়া উচিত। কারণ ঘূর্ণিঝড় ডানা এখানে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এছাড়া সেখানকার হোটেলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহ কোনো আগাম বুকিং না নিতেও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার পুরি, খুরদা, ধেনকানাল, আনগুল, কিওনজার ও মায়ুরবাঞ্জে ৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার ও ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ে হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) সোমবার তাদের পূর্বাভাসে জানায়, বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট নিম্নচাপটি বুধবার বা ২৩ অক্টোবরের মধ্যে গুরুতর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং পরের দিন বৃহস্পতিবার ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

আর ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অন্তত তিন দিন ভারতের এই উভয় রাজ্যেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবার থেকে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে এবং ধীরে ধীরে সেটি ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এরপর ২৪ অক্টোবর রাত থেকে পরদিন ২৫ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ পৌঁছাতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

ভারতের এই আবহাওয়া সংস্থাটি উপকূলীয় এলাকার জেলেদের এই সপ্তাহে সমুদ্রে না যেতে সতর্ক করে দিয়েছে।

এমটিআই