হিজবুল্লাহর গোপন বাংকারে শত শত মিলিয়ন ডলার, দাবি ইসরায়েলের
লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর গোপন এক বাংকারে শত শত মিলিয়ন ডলার ও স্বর্ণ রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। রাজধানী বৈরুতের এক হাসপাতালের নিচে বাংকারে এসব অর্থ খুঁজে পাওয়া গেছে বলেও ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যম বলছে, ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজাবুল্লাহর গোপন এক বাংকারে শত শত মিলিয়ন ডলার গচ্ছিত রয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। রাজধানী বৈরুতের এক হাসপাতালের নিচে হিজবুল্লাহর একটি গোপন আর্থিক কেন্দ্র রয়েছে বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস।
তাদের জোরালো দাবি, গোপন ওই বাংকারটিতে কয়েক মিলিয়ন ডলার নগদসহ রয়েছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, যা এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন কার্যক্রমে অর্থের জোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
— Israel Defense Forces (@IDF) October 21, 2024
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যে গত রোববার রাতের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ অধিকৃত প্রায় ৩০টি স্থান লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে হিজবুল্লাহর সাথে যুক্ত আর্থিক সংস্থা আল-কার্ড আল-হাসান (একিউএএইচ)-এর অবস্থানও রয়েছে।
যদিও একিউএএইচ একটি দাতব্য সংস্থা হিসাবে পরিচিত, কিন্তু ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই এই সংস্থার বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বাহিনী হিসাবে কাজ করার অভিযোগ এনেছে। সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত নগদ অর্থ ও স্বর্ণের মজুদের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে এই দুই দেশের কাছেই।
মূলত হিজবুল্লাহর আর্থিক সম্পদ ধ্বংসের লক্ষ্যেই রোববার রাতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক সাক্ষাৎকারে বিশদ তথ্য প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, “আজ রাতে, আমি এমন একটি সাইটের গোপন তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছি যেখানে আমরা হামলা করিনি। কিন্তু সেখানে হাসান নাসরাল্লাহর বাংকারে হিজবুল্লাহর লাখ লাখ ডলার নগদ অর্থ ও স্বর্ণ রয়েছে। বাংকারটি বৈরুতের কেন্দ্রে আল-সাহেল হাসপাতালের নিচে অবস্থিত। স্থানটি অতি গোপনীয় হওয়ায় এতদিন পর্যন্ত এর সন্ধান মেলেনি।”
হাগারি দাবি করেছেন, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল ভূগর্ভস্থ ভল্ট। যেখানে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার নগদ অর্থ এবং স্বর্ণ রয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, লেবাননের জনগণ এবং ইরানের সরকার হিজবুল্লাহর আয়ের দুটি প্রধান উৎস।
হাগারি বলেছেন, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আর্থিক উপস্থিতি থাকার অভিযোগ সত্ত্বেও সেখানে এখনও হামলা করা হয়নি। তার দাবি, “অনুমান অনুসারে, এই বাংকারে অন্তত অর্ধ বিলিয়ন ডলার এবং সোনা মজুত রয়েছে। এই অর্থ লেবানন পুনর্গঠনে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং সেটি এখনও হতে পারে।”
টিএম