পাকিস্তানের সংবিধানে একটি নতুন অধ্যাদেশ সংযোজিত হয়েছে। সেই অধ্যাদেশ অনুসারে এখন থেকে দেশটির প্রধান বিচারপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন বিশেষ একটি পার্লামেন্টারি কমিটির মাধ্যমে।

অর্থাৎ এখন থেকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কে হবেন— তা নির্ধারণ করবেন দেশটির নির্বাচিত আইনপ্রণেতারা। এতদিন পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হতেন সুপ্রিম কোর্টের সর্বজ্যেষ্ঠ বিচারপতি।

রোববার পাকিস্তানের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাতভর বিশেষ সেশন চলেছে পার্লামেন্টে। সেই সেশনেই এই অধ্যাদেশ সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করা হয় এবং পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সেই বিলের পক্ষে ভোট দেন।

বিলটি পাস হওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, “এখন থেকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন বিশেষ পার্লামেন্টারি কমিটির মাধ্যমে। এ সংক্রান্ত নতুন একটি নতুন একটি অধ্যাদেশ আজ থেকে পাকিস্তানের সংবিধানে যুক্ত হলো। এই অধ্যাদেশ পার্লামেন্টের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করল।”

পাকিস্তানের সাংবিধান অনুসারে দেশটির প্রধান বিচারপতির অবসরগ্রণের বয়স ৬৫ বছর। তাই কোনো প্রধান বিচারপতি ৬৫ বছর পূর্ণ করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনি অবসরে চলে যেতেন এবং পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতেন বিদায়ীজনের ঠিক পরের জুনিয়র বিচারপতি।

পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান বিচারপতির নাম কাজি ফায়েজ ইসা। আগামী শুক্রবার অবসরে যাচ্ছেন তিনি।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেশটির ক্ষমতার শীর্ষে থাকা সামরিক বাহিনীর কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া এবং তা আদায়ের মতো ক্ষমতা ও যোগ্যতা একমাত্র সুপ্রিম কোর্টেরই রয়েছে। পাকিস্তানের রাজনীতিকরা সুপ্রিম কোর্টকে দেশটির গণতন্ত্রের সবচেয়ে শক্তিশালী রক্ষাকবচ বলে মনে করেন।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ