মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে নিযুক্ত চীনা কনস্যুলেটে হামলা হয়েছে। হামলায় কনস্যুলেট ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলের দিকের এই হামলার ঘটনার নিন্দা ও হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছে চীন।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সুচি নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। জান্তার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে মিয়ানমারের গণতন্ত্রীপন্থী জনগণ। তখন থেকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটি।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করার জন্য দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ওপর সম্প্রতি চাপ প্রয়োগ করে চীন। বেইজিংয়ের এই পদক্ষেপের পর মিয়ানমারে চীন-বিরোধী মনোভাব ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার মান্দালয়ে চীনা কনস্যুলেটে হামলা হয়।

সোমবার বেইজিংয়ে নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে মান্দালয়ে চীনা কনস্যুলেটে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কনস্যুলেট চত্বরে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

লিন বলেছেন, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে ‘‘গুরুতর উদ্বেগ’’ জানিয়েছে চীন। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং আইন অনুযায়ী অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারে নিজ নাগরিক, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠীকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে চীনা কনস্যুলেট।

তবে কন্যসুলেটে হামলা ও চীনা প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে জানতে তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এসএস