আশ্রয়প্রার্থীদের উগান্ডায় পাঠাতে চায় নেদারল্যান্ডস
প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বদলে আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় পাঠানোর কথা ভাবছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী টেলিভিশন চ্যানেল এনওএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা সফর নিয়ে আলাপকালে নেদারল্যান্ডসের মন্ত্রী রাইনাটে ক্লেভার বলেন, পরিকল্পনাটি আফ্রিকান আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে করা হচ্ছে। যেসব আফ্রিকান আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং নেদারল্যান্ডসে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন; কিন্তু নিরাপত্তার কারণে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না, তাদের উগান্ডা পাঠানো হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের অভ্যর্থনা শিবিরে স্থান দেবে উগান্ডা এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। অতি ডানপন্থী পার্টি ফর ফ্রিডমের (পিভিভি) সদস্য ক্লেভার বলেন, ‘‘উগান্ডা একটি অতিথিপরায়ণ দেশ; যার সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।’’
নেদারল্যান্ডসের জোট সরকারের অংশীদার পিভিভি। দেশটিতে অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর আইন করার পাশাপাশি শরণার্থীর সংখ্যাও সীমিত করতে চায় দলটি। পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়াই আশ্রয় আইন কঠোর করার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করারও পরিকল্পনা করেছিল দলটি। তবে জোট সরকারের অন্য অংশীদার ও বিরোধী দলগুলো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পিভিভির অতি-ডানপন্থী নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘‘কম আশ্রয়প্রার্থী, বড় নেদারল্যান্ডস।’’ জরুরি অবস্থা নিয়ে আপত্তি থাকলেও উগান্ডা নীতি নিয়ে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে জোট সরকারের অন্য শরিকেরাও। বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ক্লেভারকে সমর্থন দিয়েছেন তারা।
তবে সরকারের নতুন এই পরিকল্পনাকে ‘সস্তা প্রচার’ এবং ‘প্রতীকী রাজনীতি’ বলে নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলো। ডেমোক্র্যাটস ৬৬ পার্টির নেতা রব ইয়েটেন এক্সে লিখেছেন, ‘‘ডেনমার্ক এবং যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে এমন চেষ্টা করেছে।’’
আফ্রিকান দেশগুলোতে অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় ডেনমার্ক এবং ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘ফলাফল কী? কেউ আফ্রিকা যায়নি।’’ ইনফোমাইগ্রেন্টস।
এসএস