ফেসবুকে এক যুবকের সঙ্গে আলাপের পর বিয়ের ফাঁদে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হলেন ভারতের দিল্লির এক নারী। প্রায় ২৫ জন তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ৩ মে ঘটনাটি ঘটে। তার ৯ দিন পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। ইতোমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজ চলছে।

ভারতীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী প্রায় চার বছর দিল্লিতে রয়েছেন। সেখানে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। জানুয়ারি মাসে ফেসবুকে তার সঙ্গে ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের পরিচয় হয়। ওই যুবকের নাম সাগর বলে জানা গিয়েছে। আলাপের পর দুজনে ফোন নম্বরও আদান-প্রদান করেন। ফোনে কথা হতে হতে সাগর এক দিন বিয়ের প্রস্তাব দেন ওই নারীকে। নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে তার পরিচয় করানোর কথা বলেন সাগর।

বাবা-মার সঙ্গে পরিচয় করানোর নাম করে দিল্লি থেকে ওই নারীকে হরিয়ানার হোদালে ডেকে নেন সাগর। ৩ মে ওই নারী হোদাল যান। সেখানে সাগর তাকে রামগড় নামে এক গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে যান। জঙ্গলে সে সময় সাগরের বড় ভাই এবং তাদের বন্ধুরা একটি টিউবওয়েলের কাছে বসে মদ খাচ্ছিলেন।

সাগর ওই নারীকে নিয়ে সেখানে গেলে অভিযুক্তরা একে একে ধর্ষণ করেন। পরের দিন ওই নারীকে আকাশ নামে স্থানীয় এক স্ক্র্যাপ ডিলারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই নারীকে পাঁচ জন ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এরপর ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পাঁচ ধর্ষণকারী বদরপুর বর্ডারের কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

১২ মে হরিয়ানার হাসানপুর থানায় সাগরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ওই নারী। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, শারীরিক নির্যাতনের ফলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই ৯ দিন পর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এলাকার পুলিশ আধিকারিক রাজেশ জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সাগরকে শুক্রবার (১৪ মে) গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে যা যা অভিযোগ দায়ের করা যায় তা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

এইচকে