প্রধান অর্থনৈতিক খাত পর্যটনে ধস নামায় অর্থ সংকটে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। বর্তমানে সেই সংকটের মাত্রা এতটাই যে অর্থ সাশ্রয় করতে এখন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থায় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিযোগপ্রাপ্ত পরিচালকদের ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছে মালদ্বীপ।

মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মন্ত্রিসভা সদস্য এবং সরকারি বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা হ্রাসের মাধ্যমে সরকারি তহবিলের অর্থব্যয় সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার কাজ আরও নিখুঁত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

বিবৃতির এ পর্যন্ত ৭ জন প্রতিমন্ত্রী, ৪৩ জন উপমন্ত্রী এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ১৭৮ জন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। অবশ্য মাত্র ৩০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মালদ্বীপ, যার জনসংখ্যা ৫ লাখের কিছু বেশি, সেই দেশে এত বড় মন্ত্রিসভার কী কাজ ছিল— তা স্পষ্ট নয়।

নিকট ভবিষ্যতে আরও মন্ত্রী-কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কি না— বিবৃতিতে সেটিও উল্লেখ করা হয়নি। তবে সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এই গণছাঁটাইয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার সাশ্রয় করা যাবে বলে আশা করছে দেশটির সরকার।

প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের প্রধান অর্থনৈতিক খাত পর্যটন। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যত পর্যটক আসেন, একসময় তাদের ৪০ শতাংশই ছিলেন ভারতীয়।

কিন্তু গত বছর ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও টানাপোড়েনের জেরে দেশটিতে ভারতীয় পর্যটকদের আগমন কমতে থাকে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে দেশটির অর্থনীতিতে। ফলে দেশটির আয় ব্যাপকভাবে কমে যায়।

পর্যটন খাতকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং জাতীয় আয় বাড়াতে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকদের মতে সেই চেষ্টারই একটি পর্যায় এই ছাঁটাই।

সূত্র : এএফপি

এসএমডব্লিউ