বোমাতঙ্ক ছড়াতেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির যাত্রাপথ পরিবর্তন করে দিল্লি বিমানবন্দরে জরুরিভিত্তিতে অবতরণ করানো হয় (প্রতীকী ছবি)

আকাশপথে সেবাদানকারী ভারতীয় সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার মুম্বাই থেকে নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গভীর রাতে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানটি মুম্বাই থেকে রওনা দিয়েছিল।

বোমাতঙ্ক ছড়াতেই বিমানটির যাত্রাপথ পরিবর্তন করে দিল্লি বিমানবন্দরে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করানো হয়। পরে যাত্রী ও বিমানকর্মীদের নিরাপদে বের করে আনা হয় বিমানটি থেকে। আপাতত বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দরেই রয়েছে।

সেটির ভেতরে কোথাও সন্দেহজনক কিছু রাখা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিমানটিতে ২৩৯ জন অরোহী ছিলেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এয়ার ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মুম্বাই থেকে রওনা দেওয়া এআই১১৯ ফ্লাইটে নিরাপত্তাজনিত একটি সতর্কবার্তা এসেছিল। সেই কারণে বিমানটিকে জরুরিভিত্তিতে দিল্লিতে অবতরণ করানো হয়েছে। এরপর যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং তারা দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন।

প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাত ২টার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বোমাতঙ্ক ছড়ায় ফ্লাইটটিতে।

সঙ্গে সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলট। পরিস্থিতির কথা জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয়। সেই মতো বিমানটিকে অবতরণ করানো হয় দিল্লি বিমানবন্দরে।

পুলিশের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “ফ্লাইটটি বর্তমানে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আইসোলেশন রানওয়েতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সকল ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্ট্যান্ডার্ড নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে। যাত্রী ও বিমানকর্মীরা সকলেই নিরাপদে রয়েছেন।”

সংবাদমাধ্যম বলছে, বর্তমানে বোম্ব স্কোয়াড, সিআইএসএফ এবং দিল্লি পুলিশ ফ্লাইটটি তল্লাশি করছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে যাত্রীদের পরিচয়পত্রও। তবে এখনও পর্যন্ত ফ্লাইটটিতে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলেই খবর পাওয়া গেছে।

এনডিটিভি বলছে, এয়ার ইন্ডিয়া এখনও এই ঘটনায় বিস্তারিত জানায়নি এবং তদন্ত চলছে। কর্তৃপক্ষ হুমকির প্রকৃতি যাচাই করার জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। অন্যদিকে পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে যাত্রী এবং ক্রুরা।

টিএম