ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজার দুই-তৃতীয়াংশ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (ফাইল ছবি)

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ইসরায়েল মধ্য গাজার একটি স্কুলে হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। সোমবার (১৪ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্য গাজার নুসেইরাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলাবর্ষণে ২২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আরও ৮০ জন আহত হয়েছেন।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, নুসেইরাত ক্যাম্পের এই স্কুলটিতে রোববার ব্যাপক আর্টিলারি হামলা চালানো হয়। বর্বর এই হামলায় অনেক পুরো পরিবার নিহত হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বলছে, তারা এই প্রতিবেদনগুলো খতিয়ে দেখছে।

এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চলে রাস্তার মোড়ে খেলার সময় ড্রোন হামলায় পাঁচ শিশু নিহত হয় বলে জানা গেছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪২ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

টিএম