ভারতের রাজস্থানে নিজের বাড়ির পানির ট্যাংকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। সন্তানদের অত্যাচার সইতে না পেরে এমন পথ বেছে নেন তারা। তবে আত্মহত্যার আগে সেসব পাষণ্ড সন্তানের পাশবিকতার বিস্তারিত কাগজের নোটে লিখে গেছেন তারা।

এতে লেখা রয়েছে, নিজ ছেলেমেয়ে এবং মেয়ের স্বামীরা মিলে তাদের অন্তত পাঁচবার মারধর করেছেন। শুধু মারধরই নয়— হত্যার হুমকি দেওয়া, খাবার খেতে না দিয়ে ভিক্ষা করতে বলার মতো জঘন্য আচরণ করা হয়েছে তাদরে সঙ্গে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আত্মহত্যাকারী ওই বাবার নাম হাজারিরাম বিষ্ণয় (৭০) এবং তার স্ত্রী ৬৮ বছর বয়সী চাওয়ালী দেবী। আজ বৃহস্পতিবার তাদের মরদেহ বাড়ির পানির ট্যাংকে পাওয়া যায়। ওই সময় তাদের ঘরের দেওয়ালে দুই পাতার ওই সুইসাইড নোটটিও উদ্ধার করে পুলিশ।

এতে তারা লিখেছেন, তাদের ছেলে রাজেন্দ্র দুইবার এবং সুনীল দুইবার তাদের আছাড় মেরেছেন। মারধরের পর আবার ছেলেমেয়েরা হুমকি দিয়েছে কাউকে এ ব্যাপারে বললে ঘুমের মধ্যেই তাদের হত্যা করা হবে।

এই নোটে তারা আরও লিখে গেছেন, শুধুমাত্র সম্পত্তির জন্য ছেলেমেয়ে এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীরা তাদের সঙ্গে এমন পশুর মতো আচরণ করেছে। এতে আরও কিছু আত্মীয় স্বজনের উস্কানি ছিল বলেও জানিয়ে গেছেন তারা।

আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেওয়া এই বৃদ্ধ দম্পতি আরও বলেছেন, প্রতারণা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেলেমেয়েরা তাদের তিনটি প্লট ও গাড়ি ইতিমধ্যেই হাতিয়ে নিয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছেন, ফোনে ছেলেমেয়েরা তাদের তাদের সময়সময় ভয়ভীতি দেখানোসহ খারাপ ব্যবহার করত। এরমধ্যে ছেলে সুনিল একদিন ফোন করে ‘খাবারের জন্য রাস্তায় গিয়ে ভিক্ষা করতেও’ বলেন বলে উল্লেখ করেছেন তারা। আর খাবার না দিয়ে ভিক্ষা করার কথা বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল এই পাষণ্ড।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এই বৃদ্ধ দম্পতির কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে বৃহস্পতিবার তারা তাদের বাড়িতে যান এবং সেখান থেকেই তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন। এরমধ্যে বৃদ্ধের পকেট থেকে বাড়ির চাবি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালানো হবে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই