যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি চলে এসেছে মহাশক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হ্যারিকেন মিল্টন। সংবাদমাধ্যম সিএনএন বাংলাদেশ সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানায় আর মাত্র ১২ ঘণ্টা পর হ্যারিকেনটির মূল অংশ উপকূলে প্রবেশ করতে পারে। এরআগের পূর্বাভাসে আঘাত হানার যে সময়ের কথা বলা হয়েছিল সেটি থেকে এখন সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টারও জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১১টায় এটি উপকূলীয় অঞ্চল সারাসোটায় প্রথম আঘাত হানতে পারে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, হ্যারিকেন মিল্টন তার গতিপথ বদলে পূর্বের গতিপথ থেকে কিছুটা দক্ষিণ দিকে সরে গেছে। যার অর্থ মেক্সিকো উপসাগর থেকে এটি আরও সরে গেছে এবং ধারণার চেয়ে আগে আঘাত হানবে।

যেহেতু আর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে সমুদ্র থেকে এটি উপকূলে চলে আসবে তাই হ্যারিকেনটির দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ এটি আঘাত হানার সময় ক্যাটাগরি-৩ থেকে ক্যাটাগরি-৪ হ্যারিকেন শক্তি নিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়বে।

হ্যারিকেন মিল্টনের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ফ্লোরিডার টাম্পা এবং সারাসোটা মেট্রোর ৫ লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষণী সংস্থা কোরলজিক। হ্যারিকেনের গতিপথ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

বাড়িগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে এগুলো পুনরায় তৈরি করতে ১২৩ বিলিয়ন ডলার লাগবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (৯ অক্টোবর) নিজেদের বিশ্লেষণে সংস্থাটি আরও বলেছে, হ্যারিকেন মিল্টন ক্যাটাগরি-৩ হ্যারিকেন হিসেবে উপকূলে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে যদি এটি ক্যাটাগরি-৪ হিসেবে উপকূলে আছড়ে পড়ে তাহলে এটির প্রভাবে ৭ লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিতে পারে বন্যা।

সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মিল্টন অন্যতম ‘ব্যয়বহুল’ হ্যারিকেন হতে যাচ্ছে। যেটির প্রভাবে ১০০ বিলিয়নের বেশি ডলারের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।