মহাকাশ থেকে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হ্যারিকেন মিল্টনের একটি ছবি তুলেছেন নাসার নভোচারী ম্যাথু ডমিনিক। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) এ ছবিটি তোলেন তিনি। এতে হ্যারিকেনটির পরিধি এবং কাঠামোটি ওঠে এসেছে।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে প্রকাশ করা ছবিটির ক্যাপশনে ম্যাথু ডমিনিক লিখেছেন, “আজ এক ঘণ্টা আমরা আবারও হ্যারিকেন মিল্টনের উপর দিয়ে উড়ে গেছি। গতকালের মতো এটি আজকে এতটা সুবিন্যস্ত ছিল না। তবে আজ ঝড়টির পরিধি বড় মনে হয়েছে।”

এর আগে শক্তিশালী এ হ্যারিকেনটির একটি টাইমলেপস ভিডিও প্রকাশ করেন নাসার এই নভোচারী। এতে মহাকাশযানের জানালা দিয়ে হ্যারিকেন মিল্টনের ঘূর্ণি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।

এদিকে হ্যারিকেন মিল্টনের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার টাম্পা এবং সারাসোটা মেট্রোর ৫ লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষণী সংস্থা কোরলজিক।

বাড়িগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে এগুলো পুনরায় তৈরি করতে ১২৩ বিলিয়ন ডলার লাগবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (৯ অক্টোবর) নিজেদের বিশ্লেষণে সংস্থাটি আরও বলেছে, হ্যারিকেন মিল্টন ক্যাটাগরি-৩ হ্যারিকেন হিসেবে উপকূলে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে যদি এটি ক্যাটাগরি-৪ হিসেবে উপকূলে আছড়ে পড়ে তাহলে এটির প্রভাবে ৭ লাখ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিতে পারে বন্যা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মিল্টন অন্যতম ‘ব্যয়বহুল’ হ্যারিকেন হতে যাচ্ছে। যেটির প্রভাবে ১০০ বিলিয়নের বেশি ডলারের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) আশঙ্কা করছে, মিল্টন স্থানীয় সময় বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে “অত্যন্ত বিপজ্জনক হ্যারিকেন” হিসেবে আঘাত হানবে। হ্যারিকেনটি টাম্পা শহরের কাছে আঘাত হানতে পারে। এই শহরের বৃহত্তর মেট্রোপলিটন এলাকার জনসংখ্যা ৩০ লাখেরও বেশি।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই