ভারতের দুই রাজ্য হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মিরের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই ফলাফল বলছে, হরিয়ানায় বিজেপি এবং জম্মু-কাশ্মিরে জম্মু-কাশ্মির ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএনসি) জয়ী হয়েছে।

দুই রাজ্যের বিধানসভায় আসন রয়েছে ৯০টি করে। তাই বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে চাইল যে কোনো দলের অন্তত ৪৬টি আসনে জয় পেতে হবে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে হরিয়ানায় ৪৯টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি এবং ৩৬টি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। বাকি ৫টি আসনে জয়ী হয়েছে অন্যান্য দল।

আর কাশ্মিরে ফারুক আবদুল্লাহ এবং তার ছেলে ওমর আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন দল জেকেএনসি ৪২ আসনে, বিজেপি ২৮টি আসনে এবং কংগ্রেস ৮ আসনে জয় পেয়েছে। বাকি ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে অন্যান্যরা।

জম্মু-কাশ্মিরে প্রয়োজনীয় ৪৬টি আসনে জয় না পেলেও সরকার গঠনে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না ন্যাশনার কনফারেন্সকে। কারণ জেকেএনসি এবং কংগ্রেস উভয়ই বিজেপিবিরোধী জোট ‘ইনডিয়া’র শরিক দল।

হরিয়ানার বিধানসভায় গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ২০২১ সালের কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে অবশ্য রাজ্যে দলটির ভাবমূর্তি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই এই নির্বাচনে ভোটাররা সদয় হবেন কি না— তা নিয়ে সংশয় ছিল বিজেপির। ফলাফল প্রকাশের পর সেই সংশয় কেটে গেছে। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে আসনসংখ্যা বেড়েছে কংগ্রেসে।

অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মিরে জেকেএনসির ফলাফলকে ‘মহাকাব্যিক’ বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষক। কারণ ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকার। জেকেএনসি কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জম্মু-কাশ্মিরজুড়ে বিক্ষোভ ডেকেছিল জেকেএনসি। সে সময় দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহও দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলেন।

সেই অবস্থা কেটে যাওয়ার পর এ জয়কে জেকেএনসির বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

সূত্র : এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ