দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৪৭টি বাঘ, ৩টি সিংহ এবং ১টি প্যান্থার বাঘ। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সির (ভিএনএ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি এবং সিএনএ।

মৃত এসব বাঘ-সিংহ ভিয়েতনামের লং অ্যন প্রদেশের বেসরকারি মালিকানাধীন মাই কাইন সাফারি পার্ক এবং ডং নাই শহরের ভুওন জোয়াই চিড়িয়াখানার বাসিন্দা ছিল। গত আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয়েছে তাদের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বার্ড ফ্লুর বিপজ্জনক সংক্রামক ধরন এইচ৫এন১ এর টাইপ এ ভাইরাস এই বাঘ-সিংহগুলোর মৃত্যুর জন্য দায়ী।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সাফারি পার্ক এবং চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সাংবাদিকরা, কিন্তু কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এসব বাঘ-সিংহের মৃত্যুর জন্য বার্ড ফ্লুর পাশাপাশি সাফারি পার্ক ও চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলাও দায়ী।

বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ইস্যুতে কর্মরত ভিয়েনামভিত্তিক এনজিও সংস্থা এডুকেশন ফর নেচার ভিয়েতনামের তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই পর্যন্ত ভিয়েতনামের বিভিন্ন সাফারি পার্ক এবং চিড়িয়াখানায় মোট ৩৮৫টি বাঘ ছিল। তার মধ্যে ৩১০টি বিভিন্ন বেসরকারি সাফারি পার্ক এবং চিড়িয়াখানায় এবং বাকিগুলো সরকারি পার্ক-চিড়িয়াখানাগুলোতে ছিল।

বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে বাঘের মৃত্যু অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০০৪ সালে থাইল্যান্ডে বাঘের একটি প্রজনন কেন্দ্রে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২৪টিরও বেশি বাঘের। থাইল্যান্ডের সেই কেন্দ্রটি বিশ্বে বাঘের সবচেয়ে বড় প্রজনন কেন্দ্র।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে স্থন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে বার্ডফ্লুর এইচ৫এন১ ভাইরাসটির ছড়ানো প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।

সূত্র : এএফপি, সিএনএ

এসএমডব্লিউ