বাংলাদেশ-সহ দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের ৪২ কোটিরও বেশি তরুণ-তরুণীর জন্য নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ প্রজন্মকে ঘিরে নেওয়া এই উদ্যোগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জনকূটনীতিবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি লি স্যাটারফিল্ড এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ‘‘ইয়ং সাউথ এশিয়ান লিডার্স ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএসএএলআই)’’ নামের একটি উদ্যোগ চালু করেছেন। অর্থনৈতিক সুবিধা, পরিবেশগত স্থিতিস্থাপকতা এবং নাগরিক অংশগ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় অংশীদারত্বমূলক এই উদ্যোগ বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার তরুণ-তরুণীদের ঐক্যবদ্ধ করবে।

বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার এসব দেশে ৪২ কোটিরও বেশি তরুণ-তরুণী রয়েছে। ওয়াইএসএএলআই নামের এই উদ্যোগ তরুণ-তরুণীদের মাঝে নেটওয়ার্কিং গড়ে তোলা, নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ, পেশাগত অভিজ্ঞাতার বিনিময় এবং একাডেমিক ফেলোশিপের সুযোগ দেবে; যাতে তারা নিজ দেশে এবং অঞ্চলজুড়ে ইতিবাচক প্রভাবের প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারেন।

বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের কর্মকর্তারা এক অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজের অংশীদার এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ওয়াইএসএএলআইয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় যুব নেটওয়ার্ক মডেলের এই সম্প্রসারণ বিশ্বজুড়ে তরুণদের সম্পৃক্ত ও ক্ষমতায়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে একই ধরনের কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর মধ্যে ইয়ং আফ্রিকান লিডার্স ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএএলআই), ইয়ং সাউথইস্ট এশিয়ান লিডার্স ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএসইএএলআই) ও ইয়ং লিডার্স অব দ্য আমেরিকাস ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএলএআই) অন্যতম। এখন দক্ষিণ এশিয়ার জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া নতুন এই উদ্যোগ আঞ্চলিক ওই নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে।

এসএস