মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের আয়োজিত ‘ক্লাইমেট-ফরোয়ার্ড’ নামের এক অনুষ্ঠানে গতকাল কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস | নিউইয়র্ক টাইমস

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়া উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে গতকাল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট-ফরোয়ার্ড’ শিরোনামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ ২৫ মিনিট কথা বলেন তিনি।

আলোচনায় ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করাসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে সঞ্চালক প্রধান উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন, আপনার নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “আমাকে দেখে কি আপনার মনে হয় আমি নির্বাচন করব? আমি নির্বাচন করব না।”

সঞ্চালক তখন তাকে আবারও প্রশ্নের ধরনে বলেন, “তাহলে আপনার নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনাই নেই?” ইউনূস বলেন, “না, না কোনোভাবেই নয়।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘‘কেন নয়। যদি তিনি অপরাধ করে থাকেন তাহলে তাকে অবশ্যই ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আপনি নিজেই বিচারের কথা বলছেন। তারও বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত।”

নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সাবেক সরকার দেশের বিচার বিভাগ, পুলিশ, নির্বাচন কমিশনসহ সব ব্যবস্থা নষ্ট করে দিয়ে গেছে। এসব ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। তাদের তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর তাদের পরামর্শ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর সবাই যখন একটি ঐকমত্যে পৌঁছাবে, তখনই নির্বাচন আয়োজন করা হবে। আর এই কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যেই করা হবে।

ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালানোর যে দাবি করা হচ্ছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে তারা চলে গেছে। আর যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

এমটিআই