ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ছবি হাতে হিজবুল্লাহর সমর্থকরা।

পেজারে বিস্ফোরণ, ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ— এরপর রাজধানী বৈরুতে উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের লক্ষ্য করে ভয়াবহ বিমান হামলা। এর রেশ কাটতে না কাটতেই সীমান্ত এলাকায় গতকাল সোমবার স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা— গত দুই সপ্তাহে লেবাননে দখলদার ইসরায়েলের চালানো ধ্বংসযজ্ঞের উদাহরণ এগুলো।

এসব হামলায় দেশটিতে ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ আহত এবং প্রায় ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া শুধুমাত্র গতকালই বিমান হামলা চালিয়ে ১ হাজার ৬০০ বাড়ি ধসিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল।

এত এত ধ্বংসযজ্ঞের পরও হিজবুল্লাহ কেন ইসরায়েলকে ‘কড়া’ জবাব দিচ্ছে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ আসলে এই মুহূর্তে কী কৌশল অবলম্বন করছে সেটি স্পষ্ট নয়। তবে তারা এই মুহূর্তে টিকে থাকার লড়াইয়ে আছে। কারণ গত কয়েকদিনে হিজবুল্লাহকে বড় ধাক্কা দিয়েছে ইসরায়েল।

তাদের কমান্ডার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ইসরায়েল পেজার ও ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটানোয় তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে গেছে এবং বিমান হামলায় অনেক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রও হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কেন হিজবুল্লাহ পাল্টা বড় হামলা চালাচ্ছে না— এমন প্রশ্নের উত্তরে বিবিসি বলেছে, হিজবুল্লাহর কাছে ফতেহ-১১০ এবং ইয়াখন্ত ক্ষেপণাস্ত্র আছে। যেগুলো ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। যার অর্থ হিজবুল্লাহ চাইলে দখলদার ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর তেল আবিবেও হামলা চালাতে পারবে।

তবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে না এর কারণ হতে পারে— যদি তারা দখলদার ইসরায়েল লেবাননে যেমনটা করছে তেমনটাই করে তাহলে ইসরায়েল বৈরুতের বিমানবন্দরসহ অন্যান্য অবকাঠামোর বড় ক্ষয়ক্ষতি করে দিতে পারে।

আরেক কারণ হতে পারে— ইরান হয়ত তাদের আটকে রেখেছে। কারণ ইসরায়েল যদি কখনো ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায় তাহলে ওই সময় হিজবুল্লাহর কাছে থাকা এসব অস্ত্র তাদের প্রয়োজন হতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই