লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের এক শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ওই কমান্ডার হিজবুল্লাহর রকেট বিভাগের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা ছিলেন। গত দুদিন ধরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর লেবাননে হামলা ঘিরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে পুরোমাত্রার যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এর আগে, সোমবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর শত শত স্থাপনা লক্ষ করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি ওই বিমান হামলায় দেশটিতে অন্তত ৫৫৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে; যাদের মধ্যে অন্তত ৯৪ নারী ও ৫০ শিশু রয়েছে।

মঙ্গলবারের হামলার বিষয়ে লেবাননের দুটি নিরাপত্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার ইব্রাহীম কুবাইসি নিহত হয়েছেন। একই হামলায় আরও ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় ছয়জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। রাজধানীর ব্যস্ততম ঘোবেইরি এলাকায় একটি ভবনে ইসরায়েলি বিমান থেকে গোলা ছোড়া হয়েছে। এতে সেখানকার পাঁচ তলা একটি ভবনের ওপরের তলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি চাপ বৃদ্ধির কারণে প্রায় এক বছর ধরে চলা সংঘাত বড় ধরনের যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। হামাস-ইসরায়েলের সাথে গাজায় চলমান যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটলে তা তেল-উৎপাদনকারী মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা যুদ্ধ থেকে নজর ঘুরিয়ে এখন লেবাননের দিকে দিয়েছে। এমনকি গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করে লেবানন সীমান্তের দিকে সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল।

লেবাননের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে বিমান হামলা চালানোর পর হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত বৈরুতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলার জবাবে উত্তর ইসরায়েলে শত শত রকেট নিক্ষেপের দাবি জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস