দুই দশকের মধ্যে গত সোমবার লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বড় ও গভীর হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইসরায়েলি এই হামলায় লেবাননে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০০ মানুষের। যার মধ্যে ৩৪ শিশুও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিএনএনের কাছে দাবি করেছেন, ইসরায়েলের এই হামলা হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তি সামর্থ্যকে বেশ দুর্বল করে দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এতই বেশি যে হিজবুল্লাহ ২০ বছর পিছিয়ে গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, যেহেতু হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে পড়েছে এ কারণে ইসরায়েল যেন এই হামলা আর না বাড়ায় এখন তারা সেই চেষ্টা করবেন।

যদিও মার্কিন এ কর্মকর্তা যা দাবি করেছেন সেটির সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়নি। শক্তিশালী এ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আজ মঙ্গলবার দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে রকেট হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারমধ্যে একটি বিমান ঘাঁটিও আছে।

হিজবুল্লাহর শক্তি-সামর্থ্য বেশিরভাগ ফুরিয়ে গেছে এমন খবর প্রকাশ করা হয়েছে হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমগুলোতেও। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যেসব বাড়িতে রকেট রেখেছিল সেগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু তাদের দুরপাল্লার রকেট ও নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে কি না এমন কোনো তথ্য জানায়নি দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, সোমবার ১ হাজার ৬০০ বাড়িতে হামলা চালিয়ে তারা হিজবুল্লাহর ১০ হাজার রকেট ধ্বংস করেছেন।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই