হামাসের বর্তমান শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার সম্পর্কিত হালনাগাদ কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধারণা করছে, সিনওয়ার নিহত হয়েছেন।

তবে এই ধারণা সঠিক কি না, তা নিশ্চিত নয়। কারণ সিনওয়ারের খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছে না সত্য, তবে তিনি যে নিহত হয়েছেন— সে ব্যাপারেও নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেট ইতোমধ্যেই একাধিকবার বলেছে, এখনও জীবিত আছেন সিনওয়ার। এ কারণে আইডিএফ এ ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখতে চাইছে।

সিনওয়ারের সম্ভাব্য নিহত হওয়ার সংবাদটি রোববার প্রথম প্রকাশ করেছে দেশটির বেতার সংবাদমাধ্যম কান। পরের দিন সোমবার হারেৎজ, মারিভ এবং ওয়ালাসহ ইসরায়েলের অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম এই সংবাদ প্রকাশও করেছে।

গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বেশিরভাগই কাতার কিংবা লেবাননে বসবাস করলেও সিনওয়ার বরাবর গাজাতেই ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ যে হামলা চালিয়েছিল, তার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও ধরা হয় তাকে।

ওই হামলার পর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। গত এক বছরের যুদ্ধে হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়ে, হামাসের সামরিক শাকা আল কাশেম ব্রিগেডের প্রদান মোহাম্মদ দেইফ, ব্রিগেডের খান ইউনিস শহর শাখার শীর্ষ কমান্ডার রাফা সালমেহ এবং হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল আরৌরি নিহত হয়েছেন।  

সূত্র : এএফপি, এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড

এসএমডব্লিউ