পশ্চিম তীরের রামাল্লায় আল জাজিরা অফিস যেখানে অবস্থিত সেই বিল্ডিংয়ের বাইরের রাস্তায় সামরিক যান চলাচল করছে। রোববারের ছবি

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে আল জাজিরা টিভির ব্যুরো কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপর কার্যালয়টি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে তারা।

পরে কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটির কর্মীদের অফিস থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী রোববার পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে আল জাজিরা টিভির ব্যুরো কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে এবং ৪৫ দিনের জন্য বন্ধের সামরিক আদেশ দিয়েছে।

কাতার-ভিত্তিক এই চ্যানেলটি চ্যানেলের অফিসে ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলার এবং সম্প্রচার ব্যাহত হওয়ার আগে আল জাজিরা টিভির একজন কর্মীকে সামরিক বন্ধের আদেশ হস্তান্তরের লাইভ ফুটেজ সম্প্রচারও করেছে।

এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সিন্ডিকেট ইসরায়েলি এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। তারা বলেছে, “এই স্বেচ্ছাচারী সামরিক সিদ্ধান্তকে সাংবাদিকতা এবং মিডিয়ার কাজের বিরুদ্ধে নতুন অধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অপরাধ প্রকাশ করছে গণমাধ্যম।”

এর আগে গত মে মাসে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জেরুজালেমে একটি হোটেলের কক্ষে অভিযান চালায়। ওই কক্ষটি আল জাজিরার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ইসরায়েলি সরকার আল জাজিরা টিভির স্থানীয় কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে।

আল জাজিরা ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ দাবি করে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল ইহুদিবাদী এই দেশটি।

এদিকে রোববারের এই অভিযানের পর আল জাজিরার কর্মীরা রামাল্লা ব্যুরো ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ব্যুরো প্রধান জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী রামাল্লাহ অফিসের আল জাজিরার কর্মীদের বিল্ডিং ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে।

আল-ওমারি বলেন, ইসরায়েলি সেনারা নথিপত্র, ডিভাইস এবং অফিসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য একটি ট্রাকও নিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেছেন, আল জাজিরা ব্যুরো এবং মানারা চত্বরের চারপাশে অনেক সশস্ত্র ইসরায়েলি সৈন্য রয়েছে এবং তারা প্রতি মুহূর্তে গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন।

টিএম