প্রবল বর্ষণ ও তার জেরে নদী-নালা-জলাশয়ের পানি বেড়ে গুরুতর বন্যার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে জাপানের চার শহরে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই শহরগুলো থেকে ৪৫ হাজার মানুষকে সরানোর কাজ শুরু করেছেন জাপানের পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের সদস্যরা।

সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, ওয়াজিমা শহর থেকে ১৮ হাজার, সুজু শহর থেকে ১২ হাজার এবং নিগাতা ও ইয়ামাগাতা শহর থেকে ১৬ হাজার— মোট ৪৬ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই লোকজনদের সবাই অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় বসবাস করেন। বন্যা শুরু হলে সবার আগে এসব অঞ্চল ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গত কয়েক দিন ধরে জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি ও ভারী বর্ষষণ হচ্ছে। জাপানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া সংস্থা জাপান মেটেরোলজিক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় প্রবল বর্ষণ জনিত সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে জাপানের রাষ্টায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এনএইচকে জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের বর্ষণে দেশটির ১২টি নদীর পানি বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।

ওয়াজিমা শহরেও ঢোকা শুরু হয়েছে বন্যার পানি। এনএইচকেতে তার ভিডিও ফুটেজ প্রচার করা হয়েছে।

ইশিকাওয়া জেলার তিনটি নদীর পানি উপচে নিগাতা ও ইয়ামাগাতা শহরের বেশ কিছু এলাকা ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কিছু এলাকায় ভূমিধসও হয়েছে।

গত ৮ আগস্ট ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত করেছিল জাপানে। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৬১ জন মানুষ। সেই দুর্যোগের রেশ শেষ না হতেই বন্যা শুরু হলো দেশটিতে।

সূত্র : বিবিসি

এসএমডব্লিউ