হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর ভাষণ শুনছেন সাধারণ মানুষ।

লেবাননে দখলদার ইসরায়েলের তারবিহীন ডিভাইস পেজার ও ওয়াকিটকি হামলা নিয়ে কথা বলেছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার টিভিতে এই হামলা নিয়ে দীর্ঘ ভাষণ দিয়েছেন তিনি।

এতে তিনি লেবানন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইসরায়েলিদের ফেরানোর হুমকির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন। যেই হুমকিতে ইসরায়েলিরা বলেছে তারা লেবানন সীমান্তে নিরাপত্তা জোন তৈরি করে নাগরিকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরাবে। আর নিরাপত্তা জোন তৈরি করতে প্রয়োজনে লেবাননের ভেতরে প্রবেশ করবে তাদের সেনারা।

নাসরুল্লাহ বলেছেন, তিনি চান তাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনারা প্রবেশ করুক। এতে করে ইসরায়েলিদের ঘায়েল করতে তাদের সুবিধা হবে।

কয়েকদিন আগে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নর্দান কমান্ডার মেজর জেনারেল ওরি গোর্ডিন হুমকি দেন, লেবানন সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরাবেন তারা। এজন্য লেবাননের ভেতর প্রবেশ করে একটি নিরাপদ জোন তৈরি করা হবে। যেন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সীমান্ত থেকে কোনো হামলা না চালাতে পারে। মূলত এই সেনা কর্মকর্তার হুমকিকে উপহাস করেছেন হিজবুল্লাহ প্রধান। তিনি তাকে ‘বোকা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, আমি আশা করি ইসরায়েলি সেনারা লেবাননে প্রবেশ করবে। কারণ এটি আমাদের জন্য ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’ সৃষ্টি করবে।

দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও হুমকি দিয়েছেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তরাঞ্চলে ৬০ হাজার মানুষকে ফেরাবেন। যাদের গত ৮ অক্টোবর সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল ইসরায়েল।

নাসরুল্লাহ নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “নেতানিয়াহু উত্তরাঞ্চলে আপনি উত্তরের মানুষকে ফেরাতে পারবেন না। কোনো সামরিক অভিযান, হত্যা, গুপ্তহত্যা এবং পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ফেরাতে পারবে না। তাদের ফেরানোর একমাত্র উপায় গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করা।”

গত মঙ্গল ও বুধবার দখলদার ইসরায়েলের পেজার ও ওয়াকিটকি হামলায় লেবাননে অন্তত ৪০ জন নিহত ও ৪ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তবে নাসরুল্লাহ দাবি করেছেন, ইসরায়েল এই হামলার মাধ্যমে ৫ হাজার মানুষকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা এতে সফল হয়নি।

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই