লেবাননে পরপর দুইদিন তারবিহীন যোগাযোগের ডিভাইস পেজার ও ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। যা দেশটির শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যরা ব্যবহার করত। এই বিস্ফোরণে লেবাননে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু ও চার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এরপর ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে নতুন করে বড় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে কয়েক হাজার সেনাকে লেবানন সীমান্তে নিয়ে গেছে দখলদার ইসরায়েল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গতকাল বুধবার জানিয়েছে, গাজা থেকে ৯৮তম ডিভিশনকে প্রত্যাহার করে লেবানন সীমান্তে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে লেবানন সীমান্তে দখলদার ইসরায়েলের শুধুমাত্র ৩৬তম ডিভিশনের সেনার ছিল। নতুন আরেকটি ডিভিশনকে নিয়ে যাওয়ার মানে হলো সেখানে ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। অপরদিকে গাজায় বর্বরতা অব্যাহত রাখতে আরও দুটি ডিভিশনকে সেখানে রাখা হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে এই যুদ্ধে যোগ দেয় লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতদিন হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুধুমাত্র সীমান্ত কেন্দ্রিক ছিল। কিন্তু গত দুইদিনে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর পেজার এবং ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ বাধার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ যোদ্ধাদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে সেই দিকনির্দেশনা আসতে পারে তার ভাষণ থেকে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই