লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের ওপর ছোট ডিভাইস পেজারের মাধ্যমে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। পেজার নামের এই ডিভাইসটি মোবাইল ফোনের চেয়েও ছোট। এছাড়া এটি ব্যবহারে লাগে না কোনও ইন্টারনেট সংযোগ।

• পেজার কী? যেটির মাধ্যমে হামলা চালাতে সক্ষম হলো ইসরায়েল

পেজার হলো একটি তারবিহীন যোগাযোগের ডিভাইস। এটি দিয়ে বার্তা আদানপ্রদান করা যায়। এতে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না।

মোবাইল ফোন সহজলভ্য হওয়ার আগে পেজার ব্যবহারের চল ছিল। তখন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যখাতে এটির ব্যবহার দেখা যেত। পেজার দুই ধরনের হয়। একটির মাধ্যমে কেবল বার্তা পাওয়া যায়।

আরেকটির মাধ্যমে বার্তা পাওয়া এবং পাঠানো—উভয়ই করা যায়। ২০০০ সালের পর মোবাইল ফোনে বাজার সয়লাব হয়ে যাওয়ার পর পেজারের ব্যবহার একেবারেই নাই হয়ে যায়।

তবে চলতি বছরের শুরুতে হিজবুল্লাহ ব্যাপকভাবে পেজার ব্যবহার শুরু করে। কারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে দখলদার ইসরায়েলিরা তাদের সহজেই ট্র্যাক করতে পারত। এ কারণে নেটবিহীন পেজার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে তারা। মঙ্গলবার লেবাননে হামলার পর পেজারের ব্যবহারের বিষয়টি আবার নতুন করে সামনে চলে এসেছে।

সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়া জানিয়েছে, যেসব পেজার বিস্ফোরিত হয়েছে সেগুলো পাঁচ মাস আগে লেবাননে আসে। এই ডিভাইসগুলো কোনোভাবে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নিয়ন্ত্রণে যায়। এরপর তারা এগুলোতে অতি-উচ্চ বিস্ফোরক স্থাপন করে। এরপর সেগুলো লেবাননে পাঠায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল সুযোগ বুঝে এসব পেজারে বিস্ফোরণ ঘটানো।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা। পেজারের মাধ্যমে চালানো হামলায় লেবাননে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন।

ভয়াবহ এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে হিজবুল্লাহ উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তবে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি লেবাননের সশস্ত্র এই গোষ্ঠী।

এমটিআই