ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছেন আরও ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে গাজার সিভিল ডিফেন্স বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজা উপত্যকায় ছয় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যার মধ্যে তিনজন বেইত হানুনের কাছে বেসামরিকদের একটি সমাবেশে হওয়া বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের দুটি বিমান হামলায় গাজা শহরে দুই শিশু ও একজন নারীসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় এলাকায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ১৩ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা আরও বলেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শহরের আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষের তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মূলত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ৯৫ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

টিএম