ফলের রস পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া ফল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টপূর্ণ, ভিটামিন ও মিনারেলস সমৃদ্ধ থাকে। এর ফলে ফল খেলে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়।

কিন্তু সেই ফলের রস বিক্রির নামে তাতে মেশানো হচ্ছিল প্রস্রাব। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক ফলের রস বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে এক কিশোরকেও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দিল্লির পার্শ্ববর্তী গাজিয়াবাদে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফলের জুসের সাথে প্রস্রাব মিশিয়ে গ্রাহকদের পরিবেশন করার অভিযোগে শুক্রবার এক জুস বিক্রেতা এবং ১৫ বছর বয়সী এক ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তার মতে, জুস বিক্রেতা মানুষের প্রস্রাব মেশানোর পর গ্রাহকদের কাছে ফলের জুস পরিবেশন করছিলেন বলে জনগণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার এসিপি অঙ্কুর বিহার ভাস্কর ভার্মা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম আমির। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার জুসের দোকানে তল্লাশি চালিয়ে প্রস্রাব ভর্তি প্লাস্টিকের ক্যান উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, তারা মালিককে প্রস্রাব ভর্তি ওই পাত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তিনি কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এই ঘটনায় একজন কিশোরকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে ভার্মা বলেন, এই বিষয়ে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বেশ কয়েকজন অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে ফলের রসের মধ্যে মূত্র মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এরপরই পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।

এদিকে, মূত্র মিশিয়ে জুস বিক্রি করা হচ্ছিল এতদিন ধরে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা দোকানে চড়াও হয় এবং অভিযুক্ত বিক্রেতাকে ব্যাপক মারধর করে।

পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার এবং গ্রেপ্তার করে। ক্যানে পাওয়া প্রস্রাব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

টিএম