গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ছয় ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। তবে যুক্তরাজ্য এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। দেশটি দাবি করেছে, লন্ডনে মস্কোর কূটনৈতিক কার্যক্রম কমিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে রাশিয়া তাদের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তার সফরের দিনই কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিলো রাশিয়া।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন স্টার্মার। আলোচনায় তারা ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে পারেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দেয় তাহলে তারা ধরে নেবেন এই যুদ্ধে ন্যাটোও যোগ দিয়েছে। রাশিয়ার ভেতর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারকে ‘চূড়ান্ত সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি জানিয়েছে, যে ছয়জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ডিভিশন থেকে পাঠানো হয়েছিল। তাদের দায়িত্ব ছিল রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে হারানো।

এফএসবি আরও জানিয়েছে, অন্যান্য কূটনীতিকরা যদি একই ধরনের কাজ করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাশিয়াকে বেকায়দায় ফেলতে এখন রাশিয়ার ভেতরই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। এ কারণে তারা দাতা দেশগুলোর কাছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চাইছে।

সূত্র: এপি

এমটিআই