ইসরায়েলের বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া গাড়ি পর্যবেক্ষণ করছেন সাধারণ মানুষ।

সিরিয়ার ভূখণ্ডের ভেতর প্রবেশ করে ইরানের তৈরি করা একটি গোপন ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরায়েলের এলিট ফোর্সের সেনারা। গত সপ্তাহে তারা এই অভিযান চালায়।

সংবাদমাধ্যম এক্সিওস বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তিনটি সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে। গোপন ওই কারখানায় নির্ভূল ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হতো।

ইরানের সহযোগিতায় সিরিয়ার মাসাফে মাটির নিচে এই কারখানাটি তৈরি করা হয়েছিল। যেটি লেবানন সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত।

এক্সিওস জানিয়েছে, এই কারখানা ধ্বংসের বিষয়টি ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহর জন্য একটি বড় ধাক্কা। কারণ ইরানের লক্ষ্য ছিল সিরিয়ার মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে সেগুলো দ্রুত তাদের মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলিরা সিরিয়ায় আগেও হামলা চালিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রের কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে। এ কারণে ইরান মাটির নিচে কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী এটি তৈরি করা হয়। কারখানাটি মাটির এতই নিচে ছিল যে বিমান হামলায় এটি ধ্বংস করা যেত না। আর তাই ইসরায়েলি সিদ্ধান্ত নেয় স্থল হামলা চালিয়ে এটি তারা ধ্বংস করবে। এই জন্য দীর্ঘ পাঁচ বছর অপেক্ষা করেছে তারা।

গত সপ্তাহে হেলিকপ্টারে করে ইসরায়েলি স্পেশাল ফোর্সের সেনারা সেখানে যায়। ওই সময় চারপাশে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়। যেন সিরিয়ার সেনারা সেখানে না আসতে পারেন।

এক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা ওই কারখানা থেকে গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে নেয়। এরপর তারা সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া বিস্ফোরক দিয়ে কারখানাটি ধ্বংস করে দেয়। ওই সময় কারখানায় যেসব সিরিয়ান গার্ড ছিল তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হত্যা করে ইসরায়েলিরা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে, সেনারা কয়েকজন ইরানিকে আটক করেছে। তবে তাদের সর্বশেষ অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

এদিকে দখলদার ইসরায়েল এর আগেও দুইবার কারখানাটি ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছিল।

সূত্র: এক্সিওস

এমটিআই