জর্ডানের নির্বাচনে রেকর্ড আসন পেয়েছে ইসলামিক দল ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট। গাজার ঘটনা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল তারা। জর্ডানের পার্লামেন্টে সব মিলিয়ে ১৩৮টি আসন আছে।

তার মধ্যে ৩১টি আসনে জয়লাভ করেছে ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট (আইএএফ)। এই প্রথম পার্লামেন্টে এই পরিমাণ আসন পেল তারা।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গাজায় ইসরায়েল আক্রমণ চালানোর পর থেকে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছিল এই দল। তারই প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের ফলাফলে।

মূলত জর্ডনে মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক মঞ্চ আইএএফ। উল্লেখ্য, জর্ডানের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ফলে গাজা নিয়ে আইএএফ জর্ডনে আন্দোলন শুরু করার পর বহু মানুষ সরাসরি তাদের সমর্থন করতে শুরু করেন।

রাজনৈতিকভাবে জর্ডান আমেরিকার বন্ধু। ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। তা সত্ত্বেও আইএএফ-এর এই জয় গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

শুধু ফিলিস্তিনের পক্ষে নয়, সরাসরি হামাসের পক্ষ নিয়ে জর্ডানে আন্দোলন করেছে আইএএফ। ইইউ-সহ বিশ্বের বহু দেশ হামাসকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ বলে মনে করে।

জর্ডান রাজতন্ত্রের দেশ। বাদশাহই সেখানে শেষ কথা। কিন্তু ২০২২ সালে সেখানে নির্বাচনের নতুন আইন পাস করা হয়। সে সময় পার্লামেন্টে ৪১টি আসন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংরক্ষণ করা হয়।

মূলত পার্লামেন্টে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলের মানুষের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর জন্যই এই সংস্কার করা হয়েছিল। জর্ডনের পার্লামেন্ট দেশের আইন নিয়ে আলোচনা করে। বাদশাহকে সে বিষয়ে প্রস্তাব দেয়। তবে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণের অধিকারী বাদশাহ।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে ইসলামিক দলের এই বিপুল জয় সার্বিকভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ভোট পড়েছিল ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ, অধিকাংশ মানুষই ভোট দিতে যাননি।

যারা গেছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই ইসলামিক পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই ৩১ জন প্রতিনিধির মধ্যে ২৭ জন নারী।

টিএম