করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অবশেষে শিশু ও কিশোরদের জন্য টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ মে) ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল আমেরিকান শিশু ও কিশোরদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এই টিকার অনুমোদন দেয় দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।

এর আগে ১২-১৫ বছর বয়সীদের জন্য চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছিল মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

এদিকে শিশু ও কিশোরদের জন্য টিকার এই অনুমোদনকে বড় পদক্ষেপ উল্লেখ করে এফডিএ বলছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।’

এফডিএ’র কমিশনার ড. জ্যানেট উডকক বলছেন, করোনা মহামারিকে পেছনে ফেলে এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপনের আরও কাছে পৌঁছাতেই শিশু-কিশোরদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২৬ কোটি ডোজ কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু টিকা নেওয়ার বিষয়ে দেশটিতে আগ্রহ এখন পড়তির দিকে।

সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. জ্যানেট উডকক বলেছেন, ‘পিতা-মাতা ও অভিভাবকদেরকে আমরা আশ্বস্ত করছি যে, শিশু ও কিশোরদের জন্য টিকা অনুমোদনের আগে আমাদের সংস্থা প্রাপ্ত সকল তথ্য বেশ ভালোভাবে বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে। এছাড়া এর আগেও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া সকল টিকার ক্ষেত্রেও আমরা একইভাবে তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি।’

১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী টিনএজারদের মধ্যে টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ টিকা নেওয়ার উপযুক্ত হলেন। ফলে শিশু-কিশোরদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে এই কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফাইজারের দাবি, তারা ২ হাজার ২৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে এবং এতে টিকার কার্যকারিতা ১০০ শতাংশ। এছাড়া টিকা নেওয়া টিনএজাররা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা মারাত্মক অসুস্থতা থেকেও রক্ষা পাচ্ছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

সূত্র: বিবিসি

টিএম