ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাত এবং তার ফলে সৃষ্ট প্রবল বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসে ভিয়েতনামের বিভিন্ন অঞলে মোট ২৪ জন নিহত হয়েছন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৯৯ জন। শনিবার সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ইয়াগি অবশ্য ইতোমধ্যে অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে, তবে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বর্ষণ এখনও অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দেশটির আবহাওয়া দপ্তর থেকে এক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দেশটির ল্যাং সন, কাও বাং, ইয়েন বাই এবং থাই এনগিয়েন প্রদেশ বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ইয়াগির প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ভিয়েতনামের বিভিন্ন অঞ্চলে সর্বনিম্ন ২০৮ মিলিমিটার থেকে সর্বোচ্চ ৪৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত না কমলে বন্যা-ভূমিধসের মতো দুর্ঘটনা আরও বেশি হতে পারে বলে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে পূর্বাভাসে।

গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি প্রথমে আঘাত হানে ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপে। সেখানে প্রায় ১৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে সেটি চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কো টু হয়ে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে ঝড়টি।

ভিয়েতনামের আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব এলাকার ওপর দিয়ে গিয়েছে ইয়াগি, সেসব এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার অতিক্রম করেছিল।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ