ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় শীর্ষ এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নিহত ওই কর্মকর্তার নাম আবু আল-আব্দ মুরসি। তিনি গাজার সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় তিনি প্রাণ হারান। নৃশংস এই হামলায় তার পরিবারও নিহত হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর গাজার সিভিল ডিফেন্সের ডেপুটি ডিরেক্টর আবু আল-আব্দ মুরসি জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-আলমি এলাকায় বোমা হামলায় তার পরিবারের সদস্যদের সাথে নিহত হয়েছেন।

এর কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য আল জাজিরা জানিয়েছিল, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। 

এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শনিবার গাজায় কমপক্ষে আরও ৩১ জন নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এক মা ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় আরও পাঁচজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আবারও গাজার একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে। বাস্তুচ্যুত বহু পরিবার সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলায় অন্তত আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

টিএম